Monday, March 26, 2018

Disney or no Disney, drivers are a problem!!

তখন সদ্য এসেছি এদেশে। সাল তা ২০০৮।  গাড়ি চালাবার লাইসেন্স নেই কিন্তু Disney যাবার সখ হলো. তা কি আর করা যায় , উঠলো বাই তো কটক যাই।  দুরত্ব নেহাত কম নয় - আমাদের আটলান্টা র বাড়ি থেকে Orlando প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার হবে।  আমার একটি learner লাইসেন্স আছে তখন আর সেটা নিয়ে তো একলা গাড়ি চালানো যাবে না. তাহলে উপায়?

আমার এক বন্ধু (জুনিয়র বলা যায় ) তখন থাকে Pittsburgh এ।  সে বলল যাবে আর আটলান্টা র আর এক জন অফিস এর পরিবার যোগাড় হলো। তাহলে সাকুল্যে ৮ জন লোক , একটি গাড়ি, আর সবচেয়ে ইম্পর্টান্ট, দেড় খানা ড্রাইভার।  তা দেড় খানা কেন? 

আসলে আমার তো learner লাইসেন্স তাই একা গাড়ি চালাতে পারব না একজন লাইসেন্স ধারী থাকতে হবে. কিন্তু আমাদের আরেকজন ড্রাইভার আরো সরেস তার কোনো এদেশের লাইসেন্স ই নেই. সে ইন্ডিয়া র লাইসেন্স নিয়ে দিব্বি গাড়ি চালাচ্ছে। আসলে লাইসেন্স টা  ইংলিশ এ হলে এদেশে এক বছর গাড়ি চালাতে দেয় বেশিরভাগ স্টেট এ।  কিন্তু বিদেশী লাইসেন্স ধারী রা কি এদেশী learner লাইসেন্স ধারী র পথ প্রদর্শক হতে পারে? সে কূট প্রশ্নের মিমাংসা না করেই প্লান করা গেল !!

যাই হোক অফিস থেকে পার্ক এর টিকেট কাটা হলো - ইউনিভার্সাল Orlando এর একটা পার্ক আর ম্যাজিক কিংডম। কিন্তু ডিসিশন তা দেরিতে নেওয়া হয়েছিল বলে টিকেট তা আর বাড়িতে এলো না. আমাদের বলল ওদের Orlando কাউন্টার থেকে কালেক্ট করে নিতে। আমরা স্টার্ট করলামবৃহস্পতিবার , শুক্রবার ছিল চৌঠা জুলাই , আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস। তাই বৃহস্পতিবার না পিক আপ করলে সেই শনিবার এর বারবেলা - শুক্রবার এর প্লান চৌপাট।

যাই হোক দুগ্গা দুগ্গা বলে তো সুরু করা গেলো।  তখন জিপিএস খুব পপুলার নয় আর আমাদের তা ছিলও না. তাই নানা ওয়েবসাইট থেকে ম্যাপ এর প্রিন্ট আউট নিয়ে যাত্রা সুরু করা গেল. আমাদের সময় লাগার কথা সকাল ৯ টা নাগাদ।  কিন্তু বাঙালী র টাইম তো বেরোতে বেরোতে প্রায় সাড়ে দশটা হয়ে গেল।  এদিকে সময় লাগবে প্রায় ৮ ঘন্টা (ড্রাইভিং টাইম আর ব্রেক নিয়ে ). টিকেট কালেক্ট করতে না পারলে তো সাড়ে সর্বনাশ।  পরের দিন এর টিকেট তা তো যাবেই আবার নতুন করে টিকেট কিনতে হবে..

যাই হোক, দুগ্গা দুগ্গা বলে তো শুরু করা গেল. আমাদের আমাদের আটলান্টা র বাড়ি থেকে বেরিয়ে খুব কাছেই highway ৭৫ এর ramp. কিছু টা যাবার পরে ৭৫ টা আটলান্টা ডাউনটাউন এর মধ্যে দিয়ে  যায়।  আর সাধারণত হাইওয়ে  র সব চেয়ে ডান দিকের লেন টা exit ramp হয় (বন্ধুগন  মনে রাখতে  হবে আমেরিকা  তে গাড়ি র লেফট হ্যান্ড ড্রাইভ আর চলে রাস্তার  ডান দিক  দিয়ে ). এবার কিছু ক্ষেত্রে দুটো  লেন ও exit ramp হয়।  তা আমরা  সেটা অতটা খেয়াল করিনি আর যতটা সম্ভব right লেন তা ছেড়ে চালাচ্ছিলাম। আসলে সকলে বলে  দিয়েছিলো যে হাইওয়ে তে তিনটা লেন থাকলে সবচেয়ে নিরাপদ হচ্ছে মাঝের লেন তা. সবচেয়ে বাঁ দিকের লেন টা হচ্ছে পাসিং  লেন (বাংলায় যাকে  বলে ওভারটেকিং লেন !!). তা এইবার হয়েছে কি, একটা এক্সিট এ দুটো লেন exit ramp ছিল আর যা হয়  আর কি, ধর ধর বলতে বলতে চোর পালাবার মতো, বুঝতে বুঝতে আমরা তো downtown এর কাছে exit নিয়ে ফেললাম! বোঝো এবার কি হবে? তা এই প্রশ্ন আজকের দিনে শুনতে অবাক লাগলেও, সেই জিপিএস ছাড়া সময়ে, আমাদের  মতো নতুন  ড্রাইভারদের কাছে খুব ই আতঙ্কের আর গোলমেলে ছিল. হাতে  তো  আছে প্রিন্টেড ম্যাপ  কিন্তু  তাতে তো আমাদের  বাড়ি থেকে orlando র হোটেল রাস্তা দেখানো  আছে।  মাঝখানে এই  সব অজানা প্রশ্নের  কোনো সমাধান নেই আরকি !! আজকের  জিপিএস এর যুগে এটা কোনো  সমস্যা ই নয়।  যেখানেই যাও জিপিএস এর হাত থেকে পালাবার উপায় নেই  - ঠিক ঘাড় ধরে সোজা রাস্তায় নিয়ে আসবে !! (আমার তো মনে হয় মাঝে মাঝে একটু যেন রাগ রাগ গলায় ধমক ও দেয় বার বার  রাস্তা ভুল করলে !!).

যাইহোক , এখন যে প্রশ্ন  তা সবচেয়ে বোরো হয়ে দেখা দিলো, সেটা হলো অত কিম:?? এবার কি করা? তা বেশ কিছু গুণী লোককে ফোন করে একটা ভালো সাজেশন পাওয়া গেলো। আমাদের কাছে laptop ছিল - তা Starbucks এ গিয়ে (ওখানে wifi থাকে ) ইন্টারনেট এ কানেক্ট করে  আবার একটা ম্যাপ নেওয়া যেতে পারে - কিন্তু তাতেও তো সমস্যা - Starbucks পেতে গেলেও তো ম্যাপ লাগে, তাহলে? এতো সেই ডিম্  আগে  নাকি মুরগি  আগে সমস্যা!!

তা যাই হোক বলতে বলতে একটামল  দেখা গেলো আর একটা Macy's ও।  ভাবা হলো যে ওখানে গিয়ে কাউকে জিজ্ঞেস করা যাক। যা দেখলাম একজন কাউন্টার এ বসে আছে - দেখে মনে হলো আমাদের দেশীয় হবে (এদেশে অবশ্য পুরো উপমহাদেশ এর লোককেই আমরা দেশী বলি!!). তা সেখানে গিয়ে যথাসাধ্য ব্যাপারটা বোঝানো হলো। সেকি বুঝলো কে জানে। সে তো 'দাদা সামনে গিয়ে বাঁ দিক তারপর ডানদিক, আর শেষে আবার বাঁ দিক" গোছের একটা ডিরেকশন দিলো।  যেটুকু বোঝা গেলো মাথাটাথা নেড়ে তো আবার গাড়িতে এসে বসলাম।  কনফিডেন্স একটু কম হলেও সেটা দেখলে তো চলবে না!!

যাই হোক এদিক ওদিক করে তো আবার highway তে ওঠা গেলো। বেশ একটা অ্যাচিভমেন্ট এর ভাব।  কিন্তু একটু পরেই আবার খটকা লাগলো।  রাস্তা যেন চেনা চেনা লাগছে !! দেখে যেন মনে হয় চিনি তাহারে? কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব? এখানে তো সাত জন্মে কোনোদিন আসিনি, পর্বপুরুষ ও কেউ এ জন্মে আসে নি? তাহলে? কিন্তু সেই রহস্য উদ্ধার হলো খুব তাড়াতাড়ি।  কিভাবে? খটকা  লাগাতে আমরা একটা এক্সিট এ একটা Enterprise এর দেখতে পেয়ে বেরোলাম।  গাড়িতে এন্টারপ্রাইস এর ই ছিল কিনা!

সমস্যা তা কি বোঝালাম। ....আর, উত্তর শুনে চক্ষু চড়কগাছ !! আমরা ৭৫ সাউথ এর বদলে ৭৫ নর্থ নিয়েছি আর মনের আনন্দে আবার বাড়ির দিকেই যাচ্ছিলাম!! অসাধারণ , অভূতপূর্ব , বাঙালি কোথায় গেলো তোমার গর্বের বুদ্ধি!!!! আমাদের দেখে আর আমাদের মুখগুলো দেখে বুঝতেই পারলো সদ্য আসা বুরবক এর দল।  যাই হোক বলে দিলো কি করতে হবে..আর বললো আমরা কি একটা জিপিএস চাই? তখন আমাদের মাথায় এলো 'তাইতো, এটা তো ভালো আইডিয়া'। কিন্তু পরমুহূর্তে তারা যা বললো তাতে মনে হলো থাক বাবা - আসলে তারা বললো যে ওদের এই অফিস এ নেই কিন্তু আমি যদি এয়ারপোর্ট এর এন্টারপ্রাইস যাই তাহলে জিপিএস পেতে পারি। কিন্তু আবার !!! আবার যদি জিপিএস খুঁজতে গিয়ে রাস্তা হারিয়ে যাই। তার চেয়ে থাক - দেখানো রাস্তা দিয়ে আবার স্টার্ট করি।

তাই আবার ৭৫ সাউথ দিয়ে চললাম।  অনেকটা রাস্তা কেঁচে গণ্ডুষ করতে হলো কিন্তু বোঝা গেলো এবার ঠিক ই পৌঁছাবো। Macy র লোকটাকে অনেক গালি ও দেওয়া হলো যা হোক!!

যাইহোক চলতে লাগলাম। অনেকটা রাস্তা চলতে হবে আর কিছু টা সময় ও মেকআপ করতে হবে তাই মোটামুটি জোরেই চলতে লাগলাম। কিন্তু প্রায় দুঘন্টা এভাবে নষ্ট হয়েছে , আর তাছাড়া ড্রাইভার রাও  তেমন চৌখস নয় , তাই খুব একটা ভরসা পাওয়া গেলো না ঠিক সময়ে পৌঁছানো যাবে তা বলে। ছোটোখাটো কিছু ঘটনা  ছাড়া, যেমন মাঝে অনেকটা রাস্তা ঝুম বৃষ্টি নামলো , লোকজন এর অনেকবার বাথরুম এ যেতে হল, মোটামুটি নির্ঝঞ্ঝাট এই পৌঁছানো গেল অর্ল্যান্ডো তে।

কিন্তু এতটা পড়ে যদি ভাবছেন আমার গল্প ফুরালো নটে গাছটি মুড়ালো , তাহলে আরও কিছু চমক বাকি ছিল। ওই যে বলে কাহানি মে টুইস্ট বা পিকচার অভি বাকি হ্যায় দোস্ত ।

অরলান্ড তো পৌঁছানো গেলো কিন্তু এবার টিকিট কালেক্ট করতে হবে কোন একটা স্টোরের থেকে । সেই address আর খুঁজে পাওয়া যায় না । মহা মুশকিল হলো - পরদিন ৪ঠা জুলাই  সব বন্ধ তাহলে আমরা আবার নতুন করে টিকিট কেটে ঢুকবো ? সদ্য  দেশ থেকে আসা বাঙালির দল, ডলার আর টাকার conversion করে ভিরমি খেতে হবে যে।

যাইহোক অনেক খোঁজাখুঁজি চক্কর  কাটার পর পৌঁছানো গেলো সেই দোকানের সামনে আর সবকিছুর মাধুরেন সমাপয়েৎ তো? না দাদা সে গুড়ে বালি । গাড়ি থেকে নেমে দোকানের সামনে গিয়ে দেখলাম সুন্দর করে দোকান বন্ধ করা।  আবার কাহানি মেই টুইস্ট, বাড়ি , থুড়ি  হোটেল এ চলে এলাম? না তা নয় । পিকচার সামান্য একটু বাকি ছিল । আমরা যখন বিফল মনোরথ হয়ে ফায়ার আসছি , হঠাৎ দেখি দোকানের মধ্যে একটি লোক সব আলো টালো নেভাচ্ছে । আর যাই কোথায়? অনেক অঙ্গভঙ্গি করে (আমাদের চেঁচানি শুনতে পাচ্ছিলো না কিনা, দোকান বন্ধ বলে, নাহলে পুরো অর্ল্যান্ডো শুনতে পেয়েছে অসহায় বাঙালি দেড় আর্তনাদ !!) তার মনোযোগ আকর্ষণ করা গেলো কিন্তু সে আমাদের গলা কাটতে  চাইলো কি? না আসলে এদেশে হাত দিয়ে গলা কাটার ভঙ্গি করে অনেকে বোঝায় যে আমরা বন্ধ বা আমাদের হয়ে গেছে (we are done!!). কিন্তু আমরাও নাছোড়  বান্দা । অগত্যা  সে এসে দরজা  খুলে আমাদের টিকিট  গুলো হস্তান্তর  করে তবে ছাড়া পেলো। আসলে সেগুলো সামনেই ছিল কারণ আমরা পুরো রাস্তা ধারাবিবরণী দিতে দিতে এসেছিলাম ওদের যে আমরা একটু দেরি  হলেও store closing এর মধ্যে নিশ্চই যাবো ।

তারপর টিকিট নিয়ে হোটেলে ফেরা - রেস্ট নিয়ে পরের দু দিন disney আর universal studios এর পার্ক দর্শন । তারপর কি হলো? সে এক অন্য গল্প !!




Wednesday, March 7, 2018

All black, pitch black, very black!!

Scientists found a a very black matter. How black? Cannot say! Why? Nothing, almost no light comes out of it!!

See the article in CNN.
https://www.cnn.com/2017/11/15/world/vantablack-blackest-black-material/index.html


First class flight, yeh dil maange more!! Bollei holo??

উপেন্দ্র বললো "কি রে , হিন্দু মিল কি তোর না হলেই নয় ?" তা এই মাঝরাতে এই কূট প্রশ্নের জন্যে মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।  একি ভনিতা! ...